অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা (Kuakata Sea Beach) যা পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুন ব্যপার।
একনজরে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো
কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির
ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা
কুয়াকাটার কুয়া
কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
কাউয়ার চর
চর গঙ্গামতী
ঝাউ বন
লাল কাঁকড়ার চর
রূপালী দ্বীপ
বৌদ্ধ বিহার
মিষ্টি পানির কূপ
রাখাইন পল্লী
বার্মিজ মার্কেট
শুঁটকি পল্লী
ঝিনুক বীচ
লেবুর চর
তিন নদীর মোহনা
সুন্দরবনের পূর্বাংশ (ফাতরার বন)
কুয়াকাটা যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের গাড়ীতে গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় যেতে পারবেন। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ভাড়া ৫০০-৫৫০। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা।
খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে এছাড়াও যেসব বাস ছেড়ে আসে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - সেভেন স্টার সেভেন ডিলাক্স, কুয়াকাটা এক্সপ্রেস, রয়্যাল পরিবহন এবং হাওলাদার পরিবহন। এদের সবগুলোই নন এসি এবং ভাড়া ৫০০ টাকা।
উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।
ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাস বহুল ডাবল ডেকার এম.ভি পারাবত, এম.ভি সৈকত, এম.ভি সুন্দরবন, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি প্রিন্স অব বরিশাল, এম.ভি পাতারহাট, এম.ভি উপকূল লঞ্চের কেবীনে উঠে সকালের মধ্যে পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়া নেমে রেন্ট-এ-কার যোগে/কুয়াকাটার বাসযোগে কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। ঢাকা থেকে উল্লেখিত রুট সমূহের লঞ্চগুলো বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে থাকে। লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ১০০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৮০০ টাকা।
15 июл 2023