Badar War History
Muhammad (PBUH) and 312 Sahabas
History the first Victory of Muslims
একদিকে মুসলিম দের সৈন্যবহরে মুহাম্মদ (সা) সহ মাত্র ৩১২ জন সৈনিক।আরেকদিকে কাফের দের ১০০০ সৈন্য।
একদিকে মুসলিম দের মাত্র ২ টি ঘোড়া আর ৭০ টি উট।
আরেকদিকে আবু জেহেল এর নেতৃত্বে কাফের দের বিশাল বহর এর ১০০ টি ঘোড়া, ৭০০ টি উট।
মুসলিম দের তরবারির সংখ্যা যেখানে ৮ টি, লৌহ বর্মের সং্খ্যা যেখানে মাত্র ৬ টি।
কাফের রা সেখানে অসংখ্য ঢাল তির তরবারি আর ৬০০ টি লৌহবর্মে সজ্জিত বিশাল বাহিনী নিয়ে ময়দান এর অপর প্রান্তে অপেক্ষা করছে।
সাল ৬২৪, ১৭ রমজান।
রমজানের
পিপাসার্ত মুসলিম রা কি পারবে কাফের দের এত বড় সৈন্যদল কে হারাতে?
শক্তির বিবেচনায়, মাত্র ৩১৩ জন সৈন্যের পক্ষে কি কাফের দের ১০০০ সৈন্য দল বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জেতা সম্ভব?
কিভাবে সেদিন যুদ্ধে পেরেছিলো মুসলিম রা?
বলছি, বদর এর যুদ্ধের কথা। মক্কার কাফের দের বিরুদ্ধে মুসলিম দের প্রথম বড় জয়
আপনারা হয়তো ভাবছেন, এর সাথে বদর এর যুদ্ধ কিভাবে সম্পৃক্ত? বলছি - দ্বিতীয় হিজরির রজব মাসে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সংবাদ পৌঁছে, কোরাইশদের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা সিরিয়া থেকে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মক্কায় আসছে। এ সম্পদ মুসলমানদের বিপক্ষে কাজে লাগানোর আশঙ্কা। তাই নবী কারিম (সা.) কাফেলার পিছু ধাওয়া করার আহ্বান জানান। সময় কম থাকায় বড়সড় প্রস্তুতির সুযোগ হয়নি। তাই ছোট সৈন্যদল নিয়েই যাত্রা শুরু করতে হয়।
এ খবর মক্কার ব্যাবসায়ী আবু সুফিয়ানের কাছে পৌঁছলে তিনি প্রচন্ড ভয় পান এবং দ্রুত সাহায্যের জন্য মক্কায় লোক পাঠান। মক্কায় সংবাদ পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে আবু জাহেল ১০০০ সৈন্য নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে রওনা হয়। সাথে ছিলো মুসলিম দের তুলনায় কয়েক শ গুণ বেশি সামরিক শক্তি। সুরাকা বিন মালিকের রূপ ধরে রাস্তায় এসে দলবল নিয়ে যোগ দেয় খোদ শয়তান - ইবলিশ , কাফের দের বিরাট সৈন্য বহর খুব বীরত্ব ও অহংকারের সঙ্গে চলতে থাকে। ঠিক এই সময় আল্লাহ তা'আলা মুসলিম দের সতর্ক করে ওহি পাঠান -
‘আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা বের হয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোক দেখানোর উদ্দেশে।’ -সুরা আনফাল : ৪৭
যেহেতু পূর্ব থেকে কোনো বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি ছিলো না, তাই কোরাইশ কাফের দের যুদ্ধ যাত্রার কথা মুহম্মদ (সা) কে ভাবিয়ে তোলে। এরপর মুহম্মদ (সা) মক্কার কাফের দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যাত্রা শুরু করেন মাত্র ৩১৩ জন সাহাবা নিয়ে।
চলতে চলতে বদর প্রান্তরে এসে দুই দলের সাক্ষাৎ হয়। সময়টি ছিল গ্রীষ্মকাল। আবার প্রথম রোজার মাস। এর আগে একাধারে মুসলমানরা রোজা রেখেও অভ্যস্ত ছিলেন না। কয়েকদিনের ধারাবাহিক সফর, ক্ষুধা-তৃষ্ণার যন্ত্রণায় সাহাবিদের মানসিক অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। বদরে যেখানে তারা স্থান নিয়েছিলেন সেটাও ছিল বালুকাময়। অপরদিকে কোরাইশরা স্থান দখল করেছিল সবুজ-শ্যামল ভূমিতে। অতঃপর শুরু হলো রহমতে বৃষ্টি। নবী কারিম (সা.)-এর সাহাবিরা ওই বৃষ্টিতে ভিজে শীতল পানি পান করে নতুন প্রাণ পায়। রাতে আরামের ঘুম হয়। ধুলোবালু ভিজে শক্ত হয়। আর কোরাইশদের বৃষ্টির কারণে মাটিতে কাদা জমে। রাতভর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
পরদিন সকালেই শুরু হবে যুদ্ধ। যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা আর মুসলিম দের বিজয় কেমন ছিলো তা নিয়ে বলবো।
এখন আসি, বদর এর যুদ্ধের কথায়।
যুদ্ধের আগের দিন সারা রাত মুহম্মদ (সা) আল্লাহর কাছে মুসলিম দের জন্য দোয়া করেন।
ফজরের নামাজের পর সাহাবাদের নিয়ে দোয়া করেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেও তিনি দোয়ায় মশগুল ছিলেন। আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি যে ওয়াদা করেছিলেন আজ তা পূরণ করুন। আজ যদি ইসলামের এই ছোট কাফেলাকে ধ্বংস করেন তাহলে পৃথিবীতে আর কোনোদিন আপনার ইবাদত হবে না।’
আল্লাহতায়ালা তাদের দোয়া কবুল করে অহি পাঠান, ‘আমি তোমাদের সাহায্য করব ধারাবাহিকভাবে আগত এক হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে।’ -সুরা আনফাল : ৯
১৭ রমজান, জুমাবার সকালে শুরু হয় যুদ্ধ।
দলে দলে আসমান থেকে নেমে আসে ফেরেশতাদল। শয়তান তার দলবল নিয়ে পলায়ন করে।
চলতে থাকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। নিজের জীবন বাজি রেখে ইসলাম কে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ
ভয়াবহ এক যুদ্ধ শেষে -
পরাজিত হয় দুশমন। বিজয় লাভ করেন মুমিনরা। কাফেরদের ৭০ জন বন্দি হয়। ৭০ জন নিহত হয়।
আবু জাহেল, উতবা ও শায়বার মতো মক্কার বড় বড় কাফের নেতারা প্রাণ হারায়।
মুমিনদের শহিদ হন ১৪ জন। এ বিজয়ে তাদের মনোবল বেড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস গাঢ় হয়। আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী হন।
ঘরে ঘরে আনন্দ জোয়ার বইতে থাকে। আর কাফেররা ভেঙে পড়ে। দুঃখে, ক্ষোভে জ্বলতে থাকে। তাদের ঘরে ঘরে শোকের মাতম নেমে আসে।
এই ভিডিও থেকে কি শিখলেন? কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
Follow me on - / nasirtamzidofficial
#muhammad #muhammadﷺ #arabic #Badar
#nasir #tamzid #Nasir_tamzid_Official #Nasir_tamjid
#history
11 сен 2024
